১৬. মধ্য এশিয়ায় কালো মেঘ

চ্যাপ্টার

ক্ষুদ্র শহর সায়েজু’র সুন্দর রেস্ট হাউজ। রেস্ট হাউজটি একটা ছোট পাহাড়ের মাথার উপর। রেস্ট হাউজের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পূর্ব দিকে তাকালে অল্প দুরে সমতল সুবিস্তৃত মালভুমির উপর মাথা উচু করে দাঁড়ানো মহাশূন্য গবেষণা কেন্দ্রটি দেখা যায়। অতীতে এই মহাশূন্য গবেষণাকেন্দ্র ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের। এখন মহাশূন্য গবেষণা কেন্দ্রটির মালিকানা মধ্য এশিয়া মুসলিম প্রজাতন্ত্রের। আর পশ্চিম দিকে তাকালে দেখা যায় মাইল দুই দূরে একটা পার্বত্য উপত্যকায় দাঁড়িয়ে আছে পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র। এই পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র এবং মহাশূন্য গবেষণা কেন্দ্র এখন এক মহা ষড়যন্ত্রের শিকার। মহাশূন্য গবেষণা কেন্দ্রে খুব বড় ঘটনা এখন্য ঘটেনি, কিন্তু পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে একের পর এক মারাত্মক ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রকল্পের শীর্ষ বিজ্ঞানীসহ কয়েকজন পথম শ্রেনীর বিজ্ঞানী ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড ও কম্পিউটার ব্যবস্থা বিধ্বস্ত প্রায়। শীর্ষ বিজ্ঞানী ও আণবিক প্রকল্পের প্রধান নবিয়েভ, যিনি সিংকিয়াং থেকে আহমদ মুসার সাথে ফিরে এসেছিলেন কিডন্যাপ অবস্থা থেকে মুক্ত হবার পর, নিহত হয়েছেন সায়েজুর বাইরে। অন্য সবগুলো ঘটনাই ঘটেছে সায়জুর পারমাণবিক প্রকল্প কেন্দ্রের ভেতরে। অথচ প্রকল্পটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত বলে মনে করা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে আহমদ মুসাও কোন ফাঁক খুঁজে পায়নি। কিন্তু এই নিরাপত্তার মধ্যেই নিরাপত্তাহীনতা সশরীরে অবস্থান করছে।
| ← Previous | | | Next → | | সম্পুর্ণ বই এক পেজে »

Top