১৬. মধ্য এশিয়ায় কালো মেঘ

চ্যাপ্টার

আহমদ মুসা তার ঘরে প্রবেশ করে দেখল, তাতিয়ানা সোফায় বসে আছে। মাথা তার নিচু। চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে।
ধীরে ধীরে আহমদ মুসা গিয়ে তার পাশের সোফায় বসল।
চমকে উঠে মুখ তুলল তাতিয়ানা।
চেয়ে রইল আহমদ মুসার দিকে গভীর দৃষ্টিতে।
চোখ নামিয়ে আহমদ মুসা বলল, ‘আমি দুঃখিত তাতিয়ানা, তোমার আব্বা বেঁচে থাকুন আমি চেয়েছিলাম।’
‘আমি কি অভিযোগ করেছি?’ চোখ নামিয়ে নিয়ে বলল তাতিয়ানা।
‘এ অভিযোগ করতে হয় না তাতিয়ানা, অশ্রুর চেয়ে গভীর অর্থবহ ভাষা আর নেই।’
‘অশ্রুর সে ভাষায় কি কোন অভিযোগ ছিল?’
‘অশ্রুর উৎস যে বেদনা তা আঘাত থেকেই উৎপন্ন হয় তাতিয়ানা।’
‘সে আঘাতের উৎস তো আমিই।’
‘কিন্তু এর পেছনে আপনার সামান্য অনুরোধও ছিল না।’
‘সে জন্যেই দুঃখটা আমার বেশি। তুমি নিজের বুলেটে নিজেকে বিদ্ধ করেছ। কেন করেছ বলতে পার?’
তাতিয়ানা চোখ নামিয়ে নিল আহমদ মুসার দিক থেকে। অনেকক্ষণ কোন জবাব দিল না তাতিয়ানা। মনে মনে ভাবল সে, হতে পারে রাশিয়ার পিটার দি গ্রেটের বংশ একটা পূণ্য এবার করল।
দাঁড়াল তাতিয়ানা। একটা ঢোক গিলল। তারপর আবার শুরু করল, ‘দুঃখটা আপনার কেন? এটা কি পিটার দি গ্রেটের বংশের একটা অসহায় মেয়ের প্রতি করুণা?’
‘না তাতিয়ানা, তুমিই করুণা করেছ আমাদের প্রতি। যা করেছ তার প্রতি আমাদের কোন দাবী ছিল না।’
‘না আমি করুণা করিনি। কেন করুণা করবো?’ আবেগে কাঁপল তাতিয়ানার কন্ঠ।
দরজায় নাক হলো এ সময়।
‘এস।’ আহমদ মুসা বলল।
দরজা খুলে দরজায় এসে আজিমভ বলল, ‘মুসা ভাই একটা জরুরী চিঠি।’
চিঠিটা আহমদ মুসার হাতে দিয়ে আজিমভ চলে যাচ্ছিল।
‘দাড়াও আজিমভ। চিঠিতে কি আছে দেখি।’
আজিমভ দাঁড়াল।
‘মাপ কর তাতিয়ানা।’ বলে আহমদ মুসা চিঠির দিকে মনোযোগ দিল।
চিঠির খামে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সীলমোহর। আর খামের ডান কোণে লাল কালিতে লেখা ‘জরুরী’।
খাম ছিড়ে চিঠি বের করে মেলে ধরল চোখের সামনে।
তাতিয়ানা এবং আজিমভ দুজনেরই দৃষ্টি নিবদ্ধ আহমদ মুসার মুখের ওপর।
চিঠি পড়তে পড়তে ম্লান হয়ে গেল আহমদ মুসার মুখ। একটা বেদনার কালো ছায়া নেমে এল আহমদ মুসার মুখের ওপর।
চিঠি পড়া শেষ করে চোখ বুঝল আহমদ মুসা।
‘কোন দুঃসংবাদ মুসা ভাই?’ আজিমভের কন্ঠে উদ্বেগের সুর।
চোখ খুলল আহমদ মুসা।
ম্লান হাসল। বলল, ‘দুঃসংবাদ আজিমভ। ফ্রান্সে হতভাগা ওমর বায়া আবার কিডন্যাপ হয়েছে।’
‘কারা কিডন্যাপ করেছে?’
‘ক্যামেরুনের সেই সন্ত্রাসীদের পক্ষে ফ্রান্সের কোন ভাড়া করা গ্রুপ নিশ্চয়।’
একটু থামল আহমদ মুসা। আবার বুজে এল তার চোখ। পরক্ষণেই আবার চোখ খুলে বলল ‘জানি না বেচারা বেঁচে আছে কি না, বেঁচে থাকবে কি না।’ খুব ভারী শোনাল আহমদ মুসার কন্ঠ।
মুহুর্তে চেহারাটা পাল্টে গেছে আহমদ মুসার। মনে হচ্ছে সে যেন এদেশে আর নেই।
‘কিন্তু ওমর বায়ার জন্যে ওরা এতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন?’ বলল আজিমভ।
‘ওমর বায়া এখন ব্যক্তিমাত্র নয় আজিমভ। এখন ক্যামেরুনের মজলুম একটা জাতির প্রতীক। তারা ভাবছে আজ, ওমর বায়ার কাছে যদি তারা পরাজিত হয়, তাহলে ক্যামেরুনে তাদের জুলুমও পরাজয় বরণ করবে। তাই ওমর বায়াকে তারা কব্জা করবেই, নয়তো হত্যা করবেই।’ বলতে বলতে আহমদ মুসার চোখ আবেগে ও বেদনায় নীল হয়ে গেল।
তাতিয়ানা অপলকে তাকিয়েছিল আহমদ মুসার দিকে।
কথা শেষ করে আহমদ মুসা দেয়ালের ক্যালেন্ডারের দিকে চাইল। তারপর বলল, ‘আজিমভ প্যারিসের একটা টিকিটের ব্যবস্থা কর। সবচেয়ে আগে যে ফ্লাইটটি ওখানে পৌঁছবে সেই ফ্লাইটের।’
‘আজই!’ আজিমভের কন্ঠে অনেকটা প্রতিবাদের সুর।
‘এমনিতেই যথেষ্ট দেরী হয়ে গেছে।’
‘কিন্তু আপনার মদিনা শরীফ যাওয়ার কথা।’ স্মরণ করিয়ে দিল আজিমভ।
আহমদ মুসা মুখ নিচু করল। একটা বেদনার ছায়া খেলে গেল তার মুখের ওপর দিয়ে।
ভাবল আহমদ মুসা। তারপর বলল, ‘ঠিক আছে, তুমি মদিনা শরীফ হয়ে প্যারিসের একটা টিকিট কর।’
আজিমভ বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।
তাতিয়ানা মুখ নিচু করে বসে ছিল। বেদনায় জর্জরিত তার মুখ।
আজিমভ বেরিয়ে গেলে আহমদ মুসা তাতিয়ানার দিকে চেয়ে বলল, ‘দুঃখিত তাতিয়ানা, পৃথিবীটাকে আমরা দুর্যোগময় করে তুলেছি। সমস্যা এবং সংকটের শেষ নেই।’
কোন কথা বলল না তাতিয়ানা। মাথাও তুলল না।
‘ফ্রান্সে যেতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি আমি।’ বলল আহমদ মুসাই আবার।
‘আপনি ওখান থেকে ফিরছেন কবে?’ গম্ভীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করল তাতিয়ানা।
তৎক্ষণাৎ জবাব দিল না আহমদ মুসা। একটু পর বলল, ‘ আমি জানি না তাতিয়ানা। ফ্রান্সে যাবার পরিকল্পনা ছিল না, কিন্তু যাচ্ছি। সেইভাবে আসতেও পারি আবার।’
আবার মুখ নত করল তাতিয়ানা।
‘তাতিয়ানা।’ ডাকল আহমদ মুসা।
‘বলুন।’ মুখ না তুলেই জবাব দিল তাতিয়ানা।
‘আমাকে মাফ করে দিও তাতিয়ানা। তোমার সাথে আমার দেখা আমাদের উপকৃত করেছে, কিন্তু ক্ষতি করেছি তোমার।’ ভারী এবং নরম কন্ঠস্বর আহমদ মুসার।
তাতিয়ানা মুখ তুলে তাকাল আহমদ মুসার দিকে। তার দু’চোখ ভরা অশ্রু। কাঁপছিল তার ঠোঁট।
কথা বলতে পারলো না। আবার চোখ নামিয়ে নিল সে।
তাতিয়ানার এই নিরবতা ও নিরব অশ্রুর সামনে আহমদ মুসা নিজেকে খুবই বিব্রতবোধ করল। বিপর্যস্ত এই মেয়েটার প্রতি হৃদয়ের কোথায় যেন একটা বেদনা চিন চিন করে উঠল। তার দু’চোখ ভরা অশ্রুর মধ্যে একান্ত আপন এক আশ্রয়ের আকুতি আছে। হৃদয়ের চিন চিনে বেদনাটার পাশে আহমদ মুসা একটা অস্বস্তিও অনুভব করল।
সে অস্বস্তিটা দূরে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে আহমদ মুসা বলল, ‘ তাতিয়ানা মধ্যএশিয়া মুসলিম প্রজাতন্ত্র চিরদিন তোমার কাছে কৃতজ্ঞতার পাহাড় প্রমাণ ঋণে বাধা থাকবে। প্রেসিডেন্ট আমাকে জানিয়েছেন, তারা তোমাকে মধ্যএশিয়ার নাগরিকত্ব দিয়েছেন। তাসখন্দের সবচেয়ে অভিজাত এলাকায় তোমাকে একটা বাড়ি দিয়েছেন। চাকুরী কিংবা ব্যবসায় বা যা তুমি করতে চাও তার ব্যবস্থা করে দেবেন তারা। আর………’
আহমদ মুসাকে বাধা দিল তাতিয়ানা। বলল, ‘ না এসব বলবেন না। অন্তত আপনি বলবেন না। সইতে পারবো না।’ বলে কান্নায় ভেঙে পড়ল তাতিয়ানা।
কাঁদতে কাঁদতে উঠে দাঁড়াল। বলল, ‘আমি চলি।’
‘কোথায় যাবে?’
‘আমি জানি না।’ মুখ নিচু করে বলল তাতিয়ানা।
‘তাতিয়ানা।’ ডাকল আহমদ মুসা।
অশ্রু ধোয়া মুখ তুলে ধরল তাতিয়ানা। কথা বলল না।
আহমদ মুসা উঠে দাঁড়াল। তাতিয়ানার দিকে কয়েক পা এগিয়ে বলল, ‘ তোমার জন্যে আমাদেরকে কিছু ভাববার, কিছুই করার সুযোগ দেবে না তাতিয়ানা?’
‘না, আমার জন্যে আর কারও কিছু করার নেই।’
‘আমারও তো একটা মন আছে। কি সান্ত্বনা নিয়ে আমি যাব তাতিয়ানা?’
তাতিয়ানা দু’ধাপ এগিয়ে এল আহমদ মুসার দিকে। মুখোমুখি হলো সে আহমদ মুসার। তার অশ্রু ভরা চোখ দু’টি তুলল সে আহমদ মুসার চোখের দিকে। কাঁপছিল রক্তাভ ঠোঁট দু’টি তাতিয়ানার। বলল, ‘ভাববেন পিটারদের মেয়ে পিটারদের দেশে ফিরে গেছে। তারপর আর কিছু ভাববেন না। ভাবলেও রক্তের লাল রংয়ের ভেতর দিয়ে হৃদয়ের সবুজ কান্না আপনি দেখতে পাবেন না। আর মনের কথা বলছেন? বিপ্লবীদের মন থাকে না, থাকতে নেই।’ কান্নায় ভেঙে পড়া তাতিয়ানা দু’হাতে মুখ ঢেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দৌঁড়ে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।
অনুভূতি শূন্য অবস্থায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আহমদ মুসা ধপ করে বসে পড়ল সোফায়। মাথা নিচু করে দু’হাতে চেপে ধরল মাথা।
আজিমভ ঘরে ঢুকল। ধীরে ধীরে এসে বসল আহমদ মুসার পাশে।
‘তাতিয়ানা চলে গেল মুসা ভাই, আমাদের দেয়া গাড়িটিও সে নিয়ে যায়নি।’ নরম কন্ঠে বলল আজিমভ।
আজিমভের কথার কোন জবাব এল না আহমদ মুসার কাছ থেকে। অনেকটা স্বগত কন্ঠের মত বেরিয়ে এল আহমদ মুসার মুখ থেকে ‘পৃথিবীর এত বিপদ এত বেদনা কেন আজিমভ?’ ভারী এবং কম্পিত কন্ঠ আহমদ মুসার।
মুসা ভাই আপনিই তো সেদিন এ হাদীসটা বলেছিলেন, ‘বিপদ আর বেদনার সাগর দিয়ে জান্নাত ঘেরা। জান্নাতে পৌঁছতে হলে সবাইকে পাড়ি দিতে হবে এই বিপদ আর বেদনার সাগর।’
মুখ তুলল আহমদ মুসা। তার দু’চোখের কোণায় অশ্রু। আজিমভের দিকে চেয়ে ম্লান হেসে বলল, ‘ ধন্যবাদ আজিমভ। আমি ভুলে গিয়েছিলাম এ হাদীসটার কথা।
কথা বলল না আজিমভ।
দু’জনেই নিরব।
এক সময় নিরবতা ভেঙে ভেজা কন্ঠে বলল আজিমভ, ‘প্যান ইসলামিক এয়ার লাইন্সের আজকের রাতের ফ্লাইটের টিকিট পাওয়া গেছে। টিকিট তাসখন্দ জেদ্দা, মদিনা, প্যারিসের। মক্কা শরীফে ওমরার জন্যে দু’দিন। একদিন মহানবী (সঃ) এর কবর যেয়ারত ও ভাবীর কবরে দোয়া। ৪র্থ দিন ভোরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে সোজা প্যারিস।’
‘তোমার কন্ঠ শুনে মনে হচ্ছে তুমি খুব বেজার আজিমভ।’
‘আমি একা কেন, সবাই ক্ষুদ্ধ। কেউ মেনে নিতে পারছে না আপনার এই সিদ্ধান্ত। অন্তত কয়েকটা দিন আপনার বিশ্রাম প্রয়োজন।’
‘কেন বিশ্রামের জন্যে আল্লাহ রাত তো দিয়েছেনই।’
আজিমভ কিছু বলতে যাচ্ছিল। এই সময় টেলিফোন বেজে উঠল।
আজিমভ ধরল টেলিফোন। ধরেই বলে উঠল, ‘মুসা ভাই, প্রেসিডেন্ট কথা বলবেন।’
আহমদ মুসা উঠে গেল টেলিফোন ধরার জন্যে।

সেদিনই রাত ১১টা ৪০মিনিট।
তাসখন্দ এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে আছে প্যান ইসলামিক এয়ার লাইন্সের বিশালাকার প্লেনটি।
সারি বেধে দাঁড়িয়ে থাকা অশ্রু সজল সব সাথীদের একে একে বুকে জড়িয়ে ধরে বিমানের সিড়িঁর দিকে এগুলো আহমদ মুসা।
সিড়িঁর একদম মুখে দাঁড়িয়ে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট কুতায়বা।
আহমদ মুসা সেখানে পৌঁছতেই কুতায়বা জড়িয়ে ধরল আহমদ মুসাকে।
বলল, ‘সুদিনে তো আপনাকে পাব না। দুর্দিনে যেন আল্লাহ আপনাকে এভাবেই সব সময় আমাদের কাছে এনে দেন।’
অশ্রু গড়াচ্ছিল কুতায়বার চোখ থেকে। আহমদ মুসা হেসে বলল, ‘অশ্রু মুছে ফেল কুতায়বা। প্রেসিডেন্টকে এভাবে কাঁদতে নেই।’
সবাই আবার সালাম জানিয়ে বিমানের সিড়িঁ দিয়ে উঠে গেল আহমদ মুসা।
কিন্তু বিমানের দরজায় গিয়ে হঠাৎ ঘুরে দাঁড়াল। হাত দিয়ে ইশারা করে ডাকল আজিমভকে।
বিমানের সিড়িঁ দিয়ে তর তর করে উঠে এল আজিমভ। চোখের পানিটাও মোছেনি সে।
আহমদ মুসা রুমাল দিয়ে তার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল, ‘তাতিয়ানা কিছুই নেবে না, কিন্তু তার প্রতি দায়িত্ব রয়েছে তোমাদের। রাশিয়া কিংবা যেখানেই সে থাক তার প্রতি তোমরা নজর রাখবে। কোনও অসুবিধায় যেন সে না পড়ে।’
কথা শেষ করে আজিমভের পিঠ চাপড়ে বলল, ‘যাও।’
‘আপনার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব মুসা ভাই।’
বলে সালাম জানিয়ে সিড়িঁ দিয়ে নেমে গেল আজিমভ।
আহমদ মুসা প্রবেশ করল বিমানে।

প্লেন ছাড়ল।
অল্পক্ষণের মধ্যেই তাসখন্দের সহস্র আলোক বিন্দু, সুন্দর মেঘমালা হারিয়ে গেল চোখ থেকে। তারপর আবার সামনে এসে দাঁড়াল ঘন অন্ধকার। সেই অন্ধকারে অনেক পরিচিত মুখ, পরিচিত ঘটনা ও পরিচিত কথা ঢাকা পড়ে গেল। শুরু হলো যেন এক নতুন অধ্যায়ের। কালো অন্ধকারের বুকে ফুটে উঠল আলোক নগরী প্যারিস। ওখানেই কোথাও আছে ওমর বায়া, আর আছে ভয়ংকর সংগঠন ‘আর্মি অব ক্রাইস্ট ওকুয়া।’ নতুন অধ্যায়ের অন্ধকারে আরও কে আছে কে জানে!’
আহমদ মুসার চোখ দু’টো যেন আঠার মত লেগে গেল অন্ধকারের কালো দেহের সাথে। সেই অন্ধকারের দেহে সাপের জিহ্ববার মত লক লক করে উঠল ‘ব্ল্যাক ক্রস।’ চমকে উঠল আহমদ মুসা।
চোখ ফেরাতে পারল না আহমদ মুসা সেদিক থেকে।
বিমানের সিটে হেলান দিয়ে আহমদ মুসা তাকিয়ে রইল জানালা দিয়ে সেই অন্ধকারের বুকে।
ভেসে চলল বিমান জেদ্দার উদ্দেশ্যে।

পরবর্তী বই
ব্ল্যাক ক্রসের কবলে

Top