৩৬. গুলাগ অভিযান

চ্যাপ্টার

আজর ওয়াইজম্যান সাও তোরাহ দ্বীপে ৪০ ফুট মাটির নিচে তার অফিস টেবিল বসে। জ্বলছে তার চোখ আগুনের মত। যেন তা পুড়িয়ে ফেলবে সামনে বসা তার দক্ষিণ হস্ত দানিয়েল ডেভিডকে।
আজর ওয়াইজম্যানের জ্বলন্ত চোখ নেচে উঠল। মুখ থেকে তার শব্দের শেল বর্ষিত হলো দানিয়েল ডেভিডকে লক্ষ্য করে, ‘২৪ ঘন্টার মধ্যে আমি হারতায় জর্জ এমানুয়েলের বাড়িতে কি ঘটেছে তার সঠিক রিপোর্ট চাই। আমার বিশ্বাস সেখানে আহমদ মুসা আসেনি। সমুদ্র পথের উপর আমাদের কড়া নজর আছে। গত ৭ দিনে তেরসিয়েরা থেকে কোন ছোট নৌকা বা বোট পশ্চিমের কোন দ্বীপে যায়নি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, যে ঘরে হত্যা কান্ডটা ঘটেছে, সেখানে ছেড়া সার্ট ও গেঞ্জীর যে টুকরো পাওয়া গেছে তা কোন মেয়ের। লেডিজ ঘড়িও সেখানে পাওয়া গেছে। এ থেকে প্রমাণ হয় কোন মেয়েকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। খোঁজ নাও ভাল করে।’
একটু থামল আজর ওয়াইজম্যান। বলল আবার একটু পরে, ‘সবাইকে খবর পৌছাও সাও তোরাহমুখী জাহাজ, লঞ্চ, হেলিকপ্টার সবকিছুকে যেন বিনা জিজ্ঞাসায় ধ্বংস করে দেয়া হয়। আমাদের নিজস্ব যোগাযোগ ‘মিনি-সাব’ এর মাধ্যমে চলবে। আর মাটির উপরের বন্দীখানাকে ভূগর্ভে ঢুকিয়ে দাও। যেন মাটির উপরে জংগল ও পাহাড় ছাড়া আর কোন কিছুর চিহ্ন না থাকে।’
আবার একটু দম নিল আজর ওয়াইজম্যান। কয়েক মুহূর্ত পরে শুরু করল আবার, ‘টুইন টাওয়ারের ধ্বংস সম্পর্কিত স্পুটনিক এর অনুসন্ধান রিপোর্টের বাড়তি কপি উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হলো না। অথচ এর মধ্যেই রয়েছে আমাদের প্রাণ।’
অনেকটা স্বগত কণ্ঠে এ কথাগুলো বলেই আজর ওয়াইজম্যান পাগলের মত চিৎকার করে উঠল, ‘নতুন বন্দী সাংবাদিক বুমেদীন বিল্লাহকে আমার কাছে নিয়ে এস। সে কামাল সুলাইমানের স্ত্রী লতিফা কামাল, বোন ফাতিমা কামাল এবং যায়েদ বিন ফারুকের খোঁজ-খবর জানে। তার কাছ থেকে বের করে নিতে হবে ওদের ঠিকানা। আর স্পুটনিকের ৭ জনের কাছে শেষ চেষ্টা চালাও। বের কর রিপোর্টের কপি কোথায় রেখেছে। সময় আমাদের হাতে নেই। হয় ওরা বলবে না হয় ওদের সবাইকে মরতে হবে। যাও।’
বেরিয়ে গেল দানিয়েল ডেভিড।

পরবর্তী বই
গুলাগ থেকে টুইনটাওয়ার