হেলিকপ্টার চালাচ্ছে হাসান তারিক।
তার পেছনেই তিনটি সিটে বসে আছে আহমদ মুসা, সার্গিও ও ভ্যানিসা।
কথা বলছিল সার্গিও, ‘আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি আহমদ মুসা ভাই, ‘গাজী আলী জামাল’ হয়ে গেল ‘গনজালো’। আমাদের পরিবারও টের পেল না এই বিকৃতি।’
শুধু ‘গাজী আলী জামাল’ নাম কেন, দ্বীপপুঞ্জের নামও তো বিকৃত হয়েছে। কোথায় নামটা ছিল ‘আয-যোহর’ সেটা হয়ে গেল ‘আজোরস’। এ রকমই হয়। সময়ের পরিবর্তনে যখন কোন ভাষার চর্চা কমে যায়, কিংবা আদৌ থাকে না, তখন সে ভাষার শব্দগুলো বিকৃত হয়ে যায়। অন্যভাষার লেখকরা এই বিকৃতিকে ত্বরান্বিত করে। যেমন স্পেনের ‘জাবালুত তারিক’ হয়েছে ‘জিব্রালটার’। বলল আহমদ মুসা।
আমার মনে হয় দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন নামের মত মানুষের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি যেটা আগে ছিল, সেটারও ব্যাপক বিকৃতি ঘটেছে।’ ভ্যানিসা বলল।
এ সময় আহমদ মুসা একটু নড়ে-চড়ে বসল। তার চোখে-মুখে হঠাৎ প্রশ্ন ভেসে উঠল। কোন কথা যেন হঠাৎ তার মনে পড়ে গেছে। সে দ্রুত কণ্ঠে বলে উঠল, ‘একটা কথা মনে পড়েছে ভ্যানিসা। সেই উচ্চ ভূমিটায়, যেখানে তোমাদের আদি বাড়ি ছিল বলেছিলে, যে বেদিটা আছে সেখানে আমি পাথরের বাটি দেখেছি। বেদিও পাথরের ছিল। সেখান থেকে দুটো বিশাল সাপকে নেমে যেতে দেখেছি। এখন আমার মনে পড়ছে সাপ দুটো বাটিতে কিছু খেয়েছে। আবার তোমরা দুজন বেদির পাশেই গাছের উপর ছিলে। তোমরা সব দেখার কথা। কি দেখেছ? তোমরা ওখানে গাছেই বা কেন ছিলে? এসব প্রশ্ন আমার রয়েছে। জবাব খুঁজে পাইনি।’
আহমদ মুসা থামতেই ভ্যানিসা সার্গিওর দিকে চেয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলল, ‘ভাইয়া, তুমিই উত্তরটা দাও।’
গম্ভীর হয়ে উঠেছে সার্গিও। একটু ভাবল।
একটা ম্লান হাসি ফুটে উঠল তার ঠোঁটে। বলল, ‘সাপ দুটোকে আমাদের পরিবারের সদস্য মনে করা হয়। পনের দিন বা এক মাস পর পর বেদির ঐ পাথর বাটিটায় দুধ দেয়া হয়। সাপ দুটো তা খেয়ে যায়। এই নিয়ম চলে আসছে কত যুগযুগ ধরে তা আমরা জানি না। আমাদের পূর্ব পুরুষরা এটা করেছে, সাপ দুটোর পিতা-দাদারাও এভাবে একই নিয়মে দুধ খেয়ে এসেছে। বিস্ময়ের ব্যাপার এক সাথে দুটোর বেশি সাপ দুধ খেতে আসে না। আমাদের পারিবারিক বিশ্বাস হলো, সাপ দুটো আমাদের সৌভাগ্যের প্রতীক। আদি ভিটা আমরা ছেড়েছি, কিন্তু তারা ছাড়েনি। তারা আদি বাস্তুভিটাকে ধরে রেখেছে লড়াইয়ে জয়ী হয়ে। আমাদের পরিবারের বিশ্বাস হলো, আমরা অতীতের শক্তি, সম্পদ সব একদিন ফিরে পাব। দ্বীপপুঞ্জে একদিন আবার গনজালো পরিবারের পতাকা উড়বে। সাপ দুটো আমাদের ঐশ্বর্য ও ঐতিহ্যের পাদপিঠকে আঁকড়ে থাকা তারই একটা প্রমাণ।’
একটু থামল সার্গিও।
সার্গিও থামতেই আহমদ মুসা বলল, ‘লড়াইয়ে জয়ী হয়ে’ কথাটার অর্থ বুঝলাম না। আর আপনাদের সাপের ইতিহাস কার থেকে শুরু? নিশ্চয় শুরু থেকে নয়।’
‘অবশ্যই শুরু থেকে নয়’, বলতে শুরু করল সার্গিও, ‘আমাদের পারিবারিক এক মহাবিপর্যয়ের সময় থেকে সাপের ইতিহাস শুরু বলে আমি শুনেছি। ইতিহাসটা হলোঃ গনজালো পরিবার তখনও দ্বীপের শাসক। সেই সময়ের কোন একদিন আমাদের পারিবারিক বাড়ি ও শাসনকেন্দ্র দুর্গটি আক্রান্ত হয় উত্তর আটলান্টিকের সবচেয়ে বড় জলদস্যুর নৌবাহিনী দ্বারা। রাতের বেলা আক্রমণটা এতই আকস্মিক ছিল যে, আত্মরক্ষার কোন উদ্যোগ নেয়াই সম্ভব হয়নি। দূর্গের সৈন্য ও প্রহরীরা সবাই মর্মান্তিক গণহত্যার শিকার হয়। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বেশির ভাগই মারা যায়। কিন্তু আমাদের পরিবারের শীর্ষ ও দ্বীপপুঞ্জের শাসকপদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিটি তার অবশিষ্ট পরিবার-পরিজন নিয়ে দক্ষিণে সিলভার উপত্যকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
জলদস্যু রেডরিংগর বাহিনী আমাদের দূর্গ দখলের ঐ রাতেই ভোরে আমাদের দ্বীপে ভয়াবহ ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র যেন ছিল আমাদের দূর্গটি। দূর্গ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেল। সেই সাথে ধ্বংস হয়ে গেল জলদস্যু রেডরিংগসহ তার বাহিনী। পরদিন দূর্গের শাসক আমাদের পূর্বপুরুষ দেখতে এসেছিলেন দুর্গের অবস্থা। আর দুর্গের আশে-পাশের লোকদের সাহায্যের জন্যে এনেছিলেন দুধ, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি। তিনি এসে দেখেন পাড়া-প্রতিবেশীদের তেমন ক্ষতি হয়নি। শুধু ধ্বংস হয়েছে দুর্গটাই। সবচেয়ে বিস্ময়কর যে ঘটনা দেখেন সেটা হলো, জলদস্যু সর্দার রেডরিংগ ও তার স্ত্রী দুর্গের গেটের বাইরে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। জানা যায় সর্প দংশনে তাদের মৃত্যু হয়েছে। আর যে সাপ দুটো তাদের কামড়েছিল সে দুটো সাপ তাদের পাশেই বসেছিল। মানুষের ভীড় সে দৃশ্য অবলোকন করেছে। দ্বীপপুঞ্জের শাসক আমাদের পুর্বপুরুষ সেখানে পৌছতেই সাপ দুটো চলে যেতে থাকে। যেন সাপ দুটো লাশ দুটিকে পাহারা দিয়ে রেখেছিল দ্বীপের শাসকের আগমনের অপেক্ষায়। উপস্থিত প্রবীণদের কেউ কেউ আমাদের পূর্বপুরুষকে বলে, ‘ও দুটো আপনাদের বাস্তু সাপ। ওরা প্রতিশোধ নিয়েছে রিংগর উপরে, যেমন প্রতিশোধ নেয় ঈশ্বর ভূমিকম্পের মাধ্যমে। আপনাদের সাপের দুধ খেতে দিন। সংগে সংগেই আমাদের পূর্বপুরুষটি তার একজন লোকের হাত থেকে দুধের একটা বালতি নিয়ে কিছু দূরে রেখে দেন। সাপ দুটো ফিরে এসে দুধ খেয়ে চলে যায়। সেই থেকেই ওখানে নির্দিষ্ট সময় পরপর দুধ রাখার নিয়ম মেনে আসা হচ্ছে। দুটি সাপও সেই থেকে দুধ খেয়ে যাওয়ার নিয়ম মেনে চলছে।’
একটু থামল সার্গিও। থেমেই আবার বলে উঠল, ‘কাহিনী আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন না, বিজ্ঞানও বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আপনি তো দেখেছেন দুটো সাপকে দুধ খেয়ে যেতে।’
আহমদ মুসা হাসল। বলল, ‘এক ধরনের সাপ কোথাও দুধের সন্ধান পেলে নির্দিষ্ট নিয়মেই সেখানে বার বার আসে। ভূমিকম্পের সন্ধান প্রাণীকূল আগেই পেয়ে থাকে। সেদিন ভূমিকম্পের আগে নিশ্চয় সেখানকার সাপগুলো মাটির তলা থেকে বেরিয়ে এসেছিল। ভূমিকম্প শুরু হলে মানুষ পালাচ্ছিল, সাপও পালাচ্ছিল। এই সময় রেডরিংগরা ভীত-সন্ত্রস্ত সাপের আক্রমণের শিকার হয়। এরপরও সাপের একটা নিজস্ব জগৎ আছে, সেই সাথে আল্লাহরও ইচ্ছা আছে। সুতরাং কিছু ঘটনা অলৌকিক পর্যায়ে পড়তেই পারে। আমি সাপকে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করতে বলবো না। তবে সাপকে ভালোমন্দের নিয়ামক ভাবা চলবে না।’
ম্লান হাসল সার্গিও। বলল, ‘আপনার ব্যাখ্যাটি ঠিক। তবু যে বিশ্বাস আশা যোগায়, শক্তি যোগায় এবং তা যদি ক্ষতিকর না হয়, তাহলে সে বিশ্বাস রাখলে ক্ষতি কি!’
হাসল আহমদ মুসা। বলল, ‘গাজী আলী জামাল ওরফে গনজালো পরিবার আবার ঐশ্বর্য ঐতিহ্য ফিরে পাবে, এ বিশ্বাসের জন্যে সাপকে অবলম্বন করার দরকার নেই। আপনাদের সংগ্রামই তা প্রমাণ করে দেবে, সে শুভ দিন আপনাদের অবশ্যই আসবে।’
‘ধন্যবাদ আহমদ মুসা ভাই। কিন্তু এ ধরনের বিশ্বাস ধর্মনীতির পরিপন্থী?’ বলল সার্গিও।
‘হ্যাঁ, আমাদের ইসলাম ধর্মের পরিপন্থী। ইসলামের বক্তব্য হলো, আল্লাহই সবকিছুর স্রষ্টা, প্রতিপালক, প্রত্যাবর্তনস্থল। সব ভালো-মন্দ তারই হাতে। পৃথিবীর কোন পরাক্রমশালী শাসককেই ভালো-মন্দের মালিক বলা যাবে না। বেআইনীভাবে তার কাছে মাথাও নোয়ানো যাবে না।’ আহমদ মুসা বলল।
‘ভাইয়া, স্রষ্টা মানে আল্লাহ যদি মন্দেরও মালিক হন, তাহলে মন্দের জন্যে তো তিনিই দায়ী হন। তাহলে মন্দের বিচার তিনি করবেন কেমন করে?’ বলল ভ্যানিসা।
আহমদ মুসা হাসল। বলল, ‘আমল বা আচরণ মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার জন্যে নির্ধারিত। কিন্তু এর ফলটা হয় খোদায়ী বিধান অনুসারে। ফলাফলের এ অংশটা আল্লাহর এখতিয়ারে। কিন্তু এই ফলাফল আসে আল্লাহর দেয়া প্রাকৃতিক বিধান অনুসারে, তবে মানুষের আমল ও আচরণের ভিত্তিতে। সুতরাং মন্দের জন্য আচরণকারী মানুষই দায়ী।’
‘ভাইয়া আসুন, আমরা উদ্ভুত অবস্থার আলোচনায় আসি।’ বলে একটু থেমেই আবার বলা শুরু করল, ‘পারিবারিক ইতিহাস ও পূর্ব পুরুষের পরিচয় পাওয়ার পর সবকিছুই উলট-পালট হয়ে গেল। আমাদের পরিচয় এখন কি হবে সেটাই ভাবছি।’ বলল সার্গিও।
‘তোমরা যে পরিচয় চাও, সেটাই হবে সার্গিও।’ আহমদ মুসা বলল।
‘আমি বুঝতে পারছি না আহমদ মুসা ভাই, একটি মুসলিম পরিবার কিভাবে খৃষ্টান পরিবারে রূপান্তরিত হলো?’ বলল সার্গিও।
‘অস্বাভাবিক নয় সার্গিও। শত শত বছর খৃষ্টান পরিবেশে যদি একটি বা কয়েকটি মুসলিম পরিবার থাকে এবং সেই সাথে যদি তাদের শিক্ষা-দীক্ষার কোন ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে জীবনাচরণ তাদের পরিবর্তিত হয়ে যায়, সেই সাথে হারিয়ে যায় তাদের বিশ্বাসও। এক সময় চারদিকের চলমান ধর্মই তাদের ধর্ম হয়ে যায়। এভাবেই গাজী আলী জামাল পরিবার আমূল বদলে গেছে।’ আহমদ মুসা বলল।
‘পূর্ব-পরিচয়ের এই আবিস্কার বিস্ময়কর। কিন্তু পরিচয়টা আমার জন্যে গৌরবের। আমার পূর্ব পুরুষরা স্পেনের নৌবাহিনীতে ছিল, অটোমান নৌবাহিনীতে ছিল। কিন্তু সবচেয়ে গৌরবের মনে হচ্ছে আধুনিক যুগ ও অনন্য সভ্যতার নির্মাতা আরব মুসলমানরা আমাদের পূর্ব পুরুষ। নিজেকে মুসলমান ভাবতে গৌরবই বোধ করছি।’ বলল ভ্যানিসা।
‘কিন্তু তোমাদের মুসলিম পরিচয় প্রকাশ হলে আজোরসের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া গনজালো পরিবারের জন্যে অসুবিধা হবে না?’ আহমদ মুসা বলল।
জবাব দিল সার্গিও। বলল, ‘আমাদের পূর্ব পুরুষরা পতুর্গাল সরকারের প্রপাগান্ডাকে যতটা ভয় করেছিল, ততটা ভয়ের কোন কারণ নেই। পতুর্গালের প্রপাগান্ডায় কোন কাজ হয়নি। গনজালো পরিবারের ধর্ম আজোরসবাসীদের কাছে কোন বিবেচ্য বিষয় নয়। গনজালো পরিবারের নেতৃত্ব তাদের ইতিহাসের কারণে। গনজালো পরিবার মুসলিম হলে সে ইতিহাস মিথ্যা হয়ে যাবে না।’
‘কিন্তু মুসলমানদের বিরুদ্ধে তো বিশ্বব্যাপী একটা খারাপ প্রপাগান্ডা চলছে। গনজালো পরিবারের মুসলিম পরিচয় আজোরসের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটা সংকট সৃষ্টি করতে পারে।’ আহমদ মুসা বলল।
‘সে প্রপাগান্ডার ধার অনেকটা ভোঁতা হয়ে গেছে। এ প্রপাগান্ডার মূলে তো ছিল, ইহুদীরা। সে ইহুদীদের মেরুদন্ড ভেঙে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদীরা এখন প্রধান আসামীর কাঠগড়ায় দন্ডায়মান এবং একজন মুসলমান আপনিই এই ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। সুতরাং মুসলমানদেরই সুদিন ফিরে আসছে। তারপরও যদি আমাদের পরিবারের মুসলিম পরিচয় আমাদের নেতৃত্বের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, আমরা নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়ে কর্মীর কাতারে দাঁড়াতে একটুও দ্বিধা করবো না। নেতৃত্ব ছাড়ব, কিন্তু ইতিহাস আর ছাড়ব না, আদর্শ ছাড়ব না।’ বলল সার্গিও।
‘ধন্যবাদ ভাইয়া। আমারও মত এটাই।’ আনন্দে চিৎকার করে উঠল ভ্যানিসা।
‘কনগ্রাচুলেশন। তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছি ভ্যানিসা, সার্গিও।’ বলল আহমদ মুসা।
‘ওয়েলকাম ভাইয়া। খুবই খুশি লাগছে আপনার সাথে এক হতে পেরে। আরও খুশি লাগতো যদি আপনার অভিযানে শরীক হতে পারতাম।’ ভ্যানিসা বলল।
আহমদ মুসা হাসল। বলল, ‘এও হতে পারে, বাধ্য হয়েই তোমাদের অভিযানে যোগ দিতে হচ্ছে। আমরা হারতা যাচ্ছি মূল অভিযানের প্রস্তুতির জন্য। ভবিষ্যত সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। শত্রুর শক্তি এবং সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কেও নয়। হতে পারে যে, অভিযানে তোমাদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অতএব হতাশ হয়ো না। বরং প্রস্তুত থেকো।’
‘অবশ্যই ভাইয়া। হারতা কবে যাত্রা করছেন?’ ভ্যানিসা বলল।
‘পশ্চিম উপকূলে তোমাদের ঘাঁটিতে যাবার পর তোমাদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেব।’ বলল আহমদ মুসা।
‘হেলিকপ্টারেই যাবেন?’ ভ্যানিসা বলল।
‘সেটাও ঠিক হবে ওখানে যাবার পর। হেলিকপ্টার নিলে হেলিকপ্টারটি ফিরিয়ে আনার জন্য তোমাদের, মানে অন্তত সার্গিওর যেতে হবে।’ বলল আহমদ মুসা।
‘তাহলে হেলিকপ্টার নেন ভাইয়া।’ ভ্যানিসা বলল।
আহমদ মুসা হাসল।
অন্য সকলেই হেসে উঠল ভ্যানিসার বাচ্চাসুলভ আবদারে।
হাসি থামলেও কেউ কোন কথা তৎক্ষণাৎ বলল না।
নেমে এল নিরবতা।
এই নিরবতার মধ্যে হেলিকপ্টারের চাপা গর্জনটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল।
সকলের দৃষ্টিই সামনে।
লক্ষক্ষ্যর পথে যেন প্রাণপণে উড়ে চলেছে হেলিকপ্টার। | ← Previous | | | Next → | | সম্পুর্ণ বই এক পেজে »
৩৬. গুলাগ অভিযান

Tags