৪. পামিরের আর্তনাদ

চ্যাপ্টার

একটু ঝিমুনি এসেছিল হাসান তারিকের। দরজানয় কড়া নাড়ার শব্দে উঠে বসল। দরজা খুলে দেখল ভীমকায় ভিকটর দরজায় দাড়িয়ে নাস্তা নিয়ে। সাত ফিট দৈর্ঘ্যের বিশাল বপু ভিকটরকে দেখলে প্রথম দিকে তার কৌতুক বোধ হতো। কিন্তু তার ঐ ভীম দেহের মধ্যে যে একটা নরম দিল আছে তার পরিচয় পেয়ে সে অবাক হয়ে গেছে। এ পরিচয়টা একদিন এভাবে মেলে।
হাসান তারিক সকালের নাস্তা হিসাবে পায় বেশ কয়েকটা রুটি, মাখন ও ফল-মূল যার অর্ধেকটাই সে খেত না। ক’দিন এটা দেখে একদিন সে ফিসিফিস করে হাসান তারিককে বলল, স্যার, আপনি তো অর্ধেকটাও খান না। একটা অংশ কি আমি আপনার পাশের কয়েদীকে দিতে পারি? বেচারা একটা রুটি ছাড়া আর কিছু পায় না।
কিন্তু, এটা বেআইনী হবে না? প্রশ্ন করল হাসান তারিক।
হবে, কিন্তু আপনি রাজি থাকলে কেউ টের পাবে না। চারিদিকে চেয়ে ভয়ে ভয়ে কথা ক’টি বলল ভিকটর।
অপরাধী আসামির প্রতি তোমার এ দরদ কেন ভিকটর? আরেকটা খোঁচা দিল সে ভিকটরকে।
সে কাঁচু মাচু হয়ে নরম কন্ঠে বলল, ও চোর, ডাকাত নয় স্যার।
তাহলে কি?
দাগি বিদ্রোহী?
কিসের বিদ্রোহী?
‘ফ্র’-এর রেড সরকারের বিপক্ষে, তুর্কি জাতির পক্ষে।
ভিকটরের কথা শোনার সাথে সাথে হাসান তারিকের শরীরে একটি উষ্ণ স্রোত বয়ে গেল। বলল, ওর নাম কি?
আজিমভ।
হাসান তারিক কিছুক্ষণ অপলকভাবে ভিকটরের দিকে চেয়ে রইল। কে এই ভিকটর? সে জিজ্ঞেস করল, তুমিও কি মুসলমান?
না, ল্যাটিভিয়ান। আমার জাতিও এখানকার তুর্কিদের মতই দুঃখী।
হাসান তারিক আর কিছু জিজ্ঞেস করেনি ভিকটরকে। আর জিজ্ঞেস করারও কিছু ছিল না। শেষের একটা কথায় সে সব বলে দিয়েছে। সেদিন থেকে ভিকটর তারিকের কাছে অন্য মানুষ- একটি বন্দী মানবাত্মা রক্তের অশ্রু ঝরছে যার অন্তর থেকে অবিরাম। আর সেদিন থেকে তারিকের নাস্তা আর খানার অর্ধেক যেত আজিমভের কাছে।
লোহার পাতের দরজার পর মোটা লোহার শিকের তৈরী দ্বিতীয় আরেকটা দরজা। এ দরজার ছোট্ট জানালা দিয়ে খাবার নিতে হয়। প্রতি দিনের মত সেদিন সে জানালা দিয়ে নাস্তা নিল। হাসান তারিক দেখল আগের মতই সেই পুরো নাস্তা। ভিকটরকে জিজ্ঞেস করল, কি ব্যাপার আজিমভকে দাওনি?
না স্যার, আজিমভ নেই। মুখটি ভারী ভিকটরের।
কোথায়?
ফায়ারিং স্কোয়াডে। গত রাত চারটায়। শুনলাম সব দোষ নাকি সে স্বীকার করেছে।

কথা শেষ করে একটা কাষ্ঠ হসি হাসল ভিকটর। বড় একটা খোঁচা লাগল হাসান তারিকের মনে। নাস্তা ধরা হাতটা কেঁপে উঠল। বুক থেকে উঠে আসা একটা ঢেউ যেন গলায় এসে ভেঙে পড়তে চাইল।
হাসান তারিক জিজ্ঞেস করল, চিন তুমি আজিমভকে ভিকটর?
না। এটুকু জানি, ‘ফ্র’-এর রেড আর্মির একজন রিটায়ার্ড মেজর সে। আফগান যুদ্ধ থেকে আসার পর সে বিদ্রোহী দলে যোগ দিয়েছে।
অর্ধেকটা নাস্তা ভিকটরকে ফেরত দেবার জন্য হাত বাড়িয়ে হাসান তারিক বলল, এগুলো খাব না, তুমি নিয়ে যাও।
না খেলে থাকবে স্যার, পরে নিয়ে যাব। আগাম ফেরত নেবার আইন নেই।
কাউকে দাও।
মাথা নিচু করে মুহুর্ত চিন্তা করে বলল, কাল থেকে দেখব স্যার। আজ থাক। তারপর একটু থেমে বলল, দেখে দেখে বুকটা পাথর হয়ে গেছে স্যার। প্রতি মাসে দশ বারটা ফায়ারিং স্কোয়াডে যায়।
ওরা কারা? জিজ্ঞেস করল হাসান তারিক।
চোর ডাকাতের কারাগার এটা নয়। সবাই ওরা বিদ্রোহী।
কি ধরনের লোক ওরা, ভিকটর?
সবাই নামী-দামী। হয় আমলা না হয় পার্টির, অথবা সেনা বা পুলিশের হোমরা-চোমরা ধরনের কেউ। কৃষক ও মোল্লা বিদ্রোহীদের কোন বিচারের প্রয়োজন হয় না। ওরা আকস্মাৎ একদিন হারিয়ে যায়।
একটা হুইসেলের শব্দ পাওয়া গেল। ভিকটর বলল, সুপার ভিজিটে বেরিয়েছে, যাই স্যার। বলে নাস্তার ট্রলি ঠেলে নিয়ে চলে গেল ভিকটর।
নাস্তা সেরে আজ তাড়াতাড়িই লাইব্রেরীতে চলে এল হাসান তারিক। মনটা তার ভাল নেই। আজিমভের কথা ভুলতে পারছে না সে। লোকটিকে সে দেখেনি কিন্তু না দেখলে কি হবে, ভাইকে তো দেখার প্রয়োজন হয় না।
লাইব্রেরীর গেটে পৌঁছতে গেট সিকিউরিটি রুটিন মাফিক লাইব্রেরী কার্ড চেক করে হাসান তারিককে তার নির্দিষ্ট কক্ষে পৌঁছে দিল। একমাত্র আলিয়েভার কক্ষ ছাড়া অন্য কোন কক্ষে যাবার অনুমিত তার নেই। নিয়ম হলো, বইয়ের ক্যাটালগ দেখে যে বই সে চাইবে সে বই তাকে এনে দেয়া হবে। আলিয়েভার কক্ষ পাশেই। কোন বইয়ের প্রয়োজন হলে তবেই সে আলিয়েভার কক্ষে যায়, তাছাড়া আলিয়েভাই তার কক্ষে আসে। খোঁজ খবর নেয়, কথাবার্তা বলে। প্রথম দিকে বাইরের কোন খবরই তার কাছ থেকে পাওয়া যেত না। কিন্তু পরে সে কিছু কিছু করে বলত-মিন্দানাওয়ে ইসলামের অভ্যূন্থানের খবর সে তার কাছ থেকেই পায়। মনে হয়েছিল খবরটায় যেন আয়িশা অলিয়েভাও খুশী হয়েছে। হাসান তারিক চট করে জিজ্ঞেস করেছিল আপনাকে তো খুশী মনে হচ্ছে।

জবাব দেয়নি আয়িশা আলিয়েভা। মুখটা তার গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল। পরে অবশ্য সে বলেছিল, আপনি আনন্দিত হয়েছেন তাই আমার আনন্দ।
তাই না কি? আলিয়েভার চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করেছিল হাসান তারিক।
কেন নয়?
আয়িশা আলিয়েভাকে এতটা নীচে নামিয়ে আমি কল্পনা করতে চাই না।
কয়েকটা মুহূর্ত নিস্পলক চোখে তাকিয়েছিল আলিয়েভা হাসান তারিকের দিকে। পরে নিজের চোখটা বন্ধ করে স্বগতঃই যেন বলেছিল, সুপারম্যানরা সবাইকে সুপারম্যানই ভাবে, কিন্তু সেটা ঠিক নয়।
কিন্তু মিস আয়িশা, নিজের যা পছন্দ অন্যের জন্য তা পছন্দ করাই ইসলামের শিক্ষা।
আবারও মুহূর্তকাল চুপ থাকল আয়িশা আলিয়েভা। তারপর ধীরে ধীরে বলল, আপনার সাক্ষাৎ না পেলে একথা আমি বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু তবু জিজ্ঞেস করি, এমন মানুষ হয়তো সম্ভব কিন্তু এমন মানুষের সমাজ কি সম্ভব?
কেন সম্ভব নয়? কম্যুনিস্ট সমাজ কি একদিন সম্ভব ছিল?
হাসল আয়িশা আলিয়েভা। হঠাৎ টেবিল থেকে উঠে দাঁড়াল, এক্ষুনি আসছি। বলে সে বেরিয়ে গেল হাসান তারিকের ঘর থেকে। মিনিট খানেক পরেই আবার ঘরে ঢুকল। নিচু কন্ঠে বলল, দেখে এলাম কেউ আছে কিনা। তারপর টেবিলে বসে বলল, এবার আপনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি। কম্যুনিস্ট সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের জন্য মানুষ নয়, অমানুষ প্রয়োজন যা আজকের সমাজে প্রচুর মিলে। কিন্তু আপনার সমাজ কায়েমের জন্য সুপারম্যান প্রয়োজন।
আয়িশা আলিয়েভা কথা শেষ করল। বিম্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে হাসান তারিক তার দিকে। একি মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্ড মেডালিস্ট সেই আয়িশা আলিয়েভা! হাসান তারিক বলল, কথাগুলো কি ঠিক ঠিক বললেন?
আলিয়েভার মুখে সেই হাসি। বলল, বিশ্বাস হচ্ছে না? বিষয়টা খুব সোজা। কম্যুনিস্ট নীতিবোধ এবং মানুষ যুগ যুগান্ত ধরে যে নীতিবোধ গড়ে তুলেছে তা এক নয়। মানুষের নীতিবোধের দৃষ্টিতে কম্যুনিস্টরা অমানুষ। আগের কথা যেন একটু পাশ কাটাবার চেষ্টা করল আয়িশা আলিয়েভা।
ঠিক বলেছেন, তবে জগতে নীতিবোধ একটাই। কম্যুনিস্টদের যেটা সেটা বিচ্যুতি। মানুষের নীতিবোধের ওপর দাঁড়িয়ে থেকে কম্যুনিস্টরা যে তাদের বাঞ্ছিত সমাজ পরিবর্তন ঘটানোর কথা চিন্তা করতে পারেনি ইতিহাসের কাছে কম্যুনিজমের এটাই সবচেয়ে বড় পরাজয়। তাদের আদর্শের অবাস্তবতারও এটাই বড় প্রমাণ। থামল হাসান তারিক। তারপর বলল, সুপারম্যান বলে কোন জিনিস নেই। যেমন জড়-জগৎ, যেমন পশুকুল, পাখিকুল, তেমনি মানুষই আপনার দৃষ্টিতে সুপারম্যান। এ সুপারম্যান তৈরী কঠিন নয়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং অবশ্যম্ভাবী যে পরকাল সে পরকালের জওয়াবদিহির সদা জারুক ভয়ই এ সুপারম্যান গড়তে পারে।
প্রথম দিকে আয়িশা আলিয়েভা পোষাক-আশাকেও ছিল আগুনের একটা নগ্ন স্ফুলিংগ। বাঁধ ভাঙা গতি ছিল সে স্ফুলিংগের। আর সম্মোহনী একটা আকর্ষণ ছিল তাতে। কিন্তু হাসান তারিক ছিল বরফের মত ঠান্ডা। সে ঠান্ডার সংস্পর্শে এসে আলিয়েভার সে সম্মোহনী আগুন একদিন নিভে গেল। হাসান তারিক আয়িশা আলিয়েভার সামনে তার চোখ সর্বদা নত করে রাখত। একদিন প্রশ্ন করল আলিয়েভা, আপনি মেয়েদের বড্ড ভয় করেন।
কেমন করে?
আপনি মেয়েদের দিকে তাকাতে ভয় পান।
না, মেয়েদের দিকে তাকাতে ভয় করি না, ভয় করি আল্লাহকে।
অর্থাৎ!
অর্থাৎ স্ত্রী এবং যাদের সাথে বিয়ে বৈধ নয় তাদের ছাড়া সবার ক্ষেত্রে চোখকে পর্দা করতে, দৃষ্টিকে সংযত রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে? আর আজকাল মাথাও গায়ের ওড়না মেয়েদের উঠে গেছে। একটি মুসলিম চোখ এ নগ্নতা দেখতে অভ্যস্ত নয়।
আলিয়েভা সেদিন আর কোন কথা বলতে পারেনি। এরপর থেকে তার পোষাকের পরিবর্তন ঘটল, আচরণেও। এইভাবে আলিয়েভা একজন বন্দী মানুষের ইচ্ছার কাছে অথবা তার মনের অবচেতন অংগনে জিইয়ে রাখা নীতিবোধের কাছে কম্যুনিস্ট নীতিবোধ বিসর্জন দিতে দ্বিধা করেনি।
হাসান তারিক অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে পড়ার টেবিলে। পড়ায় মন বসছে না। ভিকটরের দেয়া খবরের সবটা আজ তাকে সত্যিই বিচলিত করে তুলেছে। এখানকার মুসলমানরা কম্যুনিস্ট ঔপনিবেশিকদের হাত থেকে মুক্তির জন্য এই যে জীবন দিচ্ছে, তার কিছুই বহির্বিশ্ব জানতে পারছে না। কত আজিমভ জীবন দিয়েছে, আরও কত আজিমভ জীবন দেবে কে জানে! এই ভাবনার মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিল হাসান তারিক।
‘কি ভাবছেন এত’- আলিয়েভার এই প্রশ্নে সম্বিত ফিরে পেল সে। তাকিয়ে দেখল দরজায় দাঁড়িয়ে আয়িশা আলিয়েভা। মাথায় সাদা রুমাল বাধা। সাদা উজবেকী গাউন- যা কোনদিন আর আলিয়েভা পরেনি। ঠোঁটে লিপস্টিক নেই! মুখেও রংয়ের কোন কারুকাজ নেই- সেখানে এক শুভ্রতা। সব মিলিয়ে আলিয়েভো একখন্ড শুভ্র ফুল। হাসান তারিক বলল, বাঃ, এক নতুন পোষাকে আপনাকে দেখা গেল আলিয়েভা। কখন এসেছেন?
দরজায় দাঁড়িয়ে পরিপূর্ণ দৃষ্টি মেলে আলিয়েভা তাকিয়েছিল হাসান তারিকের দিকে। চোখের দৃষ্টিতে এক গভীর বিষণ্ণতা। বলল, অনেকক্ষণ এসেছি, কি ভাবছিলেন এমন করে?
গলার স্বরটাও নতুন লাগল হাসান তারিকের কাছে। এমন নিস্তরঙ্গ কন্ঠ আয়িশা আলিয়েভার নয়। আলিয়েভার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে হাসান তারিক বলল, তোমাকে মানে আপনাকে কেমন মনে হচ্ছে যেন আজ, আসুন…..।
হাসান তারিককে কথা শেষ করতে না দিয়ে আলিয়েভা বলল, আর ‘আপনি’ নয় ‘তুমি’।
গলাটা কেঁপে উঠল আলিয়েভার। তারপর বুকের কাছে গাউনের নিচ থেকে একটি খাম বের করে দ্রুত এগিয়ে এল হাসান তারিকের কাছে। খামটা তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, এটি রাখুন। আমি বিদায় নিতে এসেছি।
শেষের কথাগুলো বলতে গিয়ে তার গলা জড়িয়ে গেল। আলিয়েভার হাত থেকে চিঠি হাতে নিল হাসান তারিক। হাসান তারিক আবার জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিল তার কি হয়েছে? কিন্তু দেখল, ফুলের পাঁপড়ির মত ঠোঁট দু’টি তার কি এক অব্যক্ত বেদনায় কাঁপছে। চোখ দু’টিতে তার আমুদরিয়া-শিরদরিয়ার সব পানি এসে যেন জমেছে। কোন কথাই সে বলতে পারছে না। মুহূর্তের জন্য চোখ বুঁজল হাসান তারিক। তারপর চোখ দু’টি নিচু রেখেই বলল, চিঠিতে কি আছে আমি জানি না। যখন চিঠি পড়ব, তখন আর তোমার কিছুই বলার সুযোগ হবে না।
একটু থামল হাসান তারিক। তারপর বলল, বড় দুঃখী আজ এই মধ্যে এশিয়ার মুসলমানরা। তুমি যা হও, যাই কর, ভুলে যেও না তুমি তাদেরই একজন। আমুদরিয়া শিরদরিয়ায় মুসলিম রক্তের যে স্রোত বইছে, ভুলে যেও না তা তোমারই স্বজনের।
শেষের কথাগুলো ভারী হয়ে উঠল হাসান তারিকের। চোখ তুলল, হাসান তারিক। দেখল, দুহাতে মুখ ঢেকেছে আলিয়েভা। হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়ে ছুটে বেরিয়ে গেল সে ঘর থেকে।
হাসান তারিকের ইচ্ছে হলো বাইরে গিয়ে দেখে আসে আলিয়েভা কোথায়! কিন্তু পরক্ষণেই ভাবল, না আলিয়েভা এতক্ষণে হয়তো এ ভবনেই আর নেই।
আয়িশা আলিয়েভার দেওয়া খামটা তখনও হাতে। উল্টে-পাল্টে দেখল কোথাও কোন লেখা নেই, সাদা খাম। খামটি খোলা। চিঠি বের করে নিল খাম থেকে। চারভাঁজ করা চিঠি। খুলে পড়তে শুরু করল তারিক।

প্রিয় তারিক,
| ← Previous | | | Next → | | সম্পুর্ণ বই এক পেজে »

Top