৪৭. বসফরাসে বিস্ফোরণ

চ্যাপ্টার

নানা চিন্তা কিলবিল করছে আহমদ মুসার মাথায়। আইআরটির ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড টেকনোলজি’র ওপর ওদের আক্রমণ ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু ওদের আক্রমণের শক্তি যে কত ভয়ানক তা প্রমাণিত হয়েছে নৌবাহিনীর অস্ত্র ‘ডিপো’র ওপর ওদের আক্রমণের প্রকৃতি দেখে। এ এক ধরনের ভৌতিক ধ্বংসলীলা। আক্রমণকে কেউ দেখবে না, বুঝবে না, কিন্তু চোখের পলকে আস্ত্রাগার, কলকারখানা হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। আমাদের ‘সোর্ড’-এর প্রটেকশন আমব্রেলা ছাড়া এই নিরব ধ্বংসলীলা রোধ করার আর কোন উপায় নেই। কিন্তু ‘সোর্ড’-এর এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা দেয়া যাবে, কত কত জায়গায় দেয়া যাবে? ধ্বংসের এই দৈত্য আগে বাড়তে দিলে গোটা দুনিয়ার কি হবে! সকলের নিরাপত্তার একমাত্র উপায় ড. আরিয়েহ এবং তার অস্ত্র ও গবেষণাকে ধ্বংস করা। এই কাজ দ্রুতই হতে হবে। কিন্তু আরিয়েহকে পাওয়া যাবে কোথায়? সে কি ইস্তাম্বুলেই আছে, না বাইরে কোথাও পালিয়েছে? বিশাল তার লটবহরকে এত তাড়াতাড়ি বাইরে নেয়া সম্ভব নয়। এটা নিশ্চিত যে, তারা ইস্তাম্বুলেই আছে। তাছাড়া ‘সোর্ড’-এর ব্যাপারটার কোন হেস্তনেস্ত না করে তারা দূরে সরবে না। ‘সোর্ড’কেই এখন তাদের একমাত্র ভয়। রোমেলী দুর্গে ‘আইআরটি’র ওপর আক্রমণ করে তারা বুঝেছে ‘সোর্ড’-এর কাছে তাদের অস্ত্র অচল। সুতরাং ‘সোর্ড’ এখন তাদের পথের একমাত্র বাধা, একমাত্র শত্রু। এ শত্রুকে রেখে তারা কোথাও যাবে না। আমরা যেমন এখন ড. আরিয়েহ-ডেভিডদের অস্ত্র ধ্বংস করাকেই প্রধান কাজ ভাবছি, তেমনি ওরাও ‘সোর্ড’-এর ফর্মুলা হাত করা এবং আমাদের আইআরটি ধ্বংস করে ‘সোর্ড’কে শেষ করে দেয়াকেই নিশ্চয় সবচেয়ে বড় বিষয় ভাবছে। সামনে একটা ভয়ংকর লড়াই। লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ তাদের মতো আমরাও গ্রহণ করেছি। কিন্তু সমস্যা হলো, ওরা আমাদের সব জানে, কিন্তু ওদের আমরা কয়েকটা নাম ছাড়া কিছুই জানি না। ওদের ঘাঁটির সন্ধান করতে না পারলে আমরা ওদের ওপর আঘাত করতে পারছি না। ড. আরিয়েহর নাম পেলাম। এখন সবচেয়ে বড় দরকার ওদের ঘাঁটির সন্ধান পাওয়া।
| ← Previous | | | Next → | | সম্পুর্ণ বই এক পেজে »

Top