১
আহমদ মুসার গাড়ি যখন চলছিল ক্যামেরুন ক্রিসেন্টের অফিসের দিকে, সেই সময় আহমদ মুসার কানে আযানের শব্দ ভেসে এল ‘ক্যামেরুন ক্রিসেন্ট’ –এর মসজিদ থেকে।
আহমদ মুসা ব্রেক কষল গাড়ির।
‘আমাদের
আহমদ মুসার গাড়ি যখন চলছিল ক্যামেরুন ক্রিসেন্টের অফিসের দিকে, সেই সময় আহমদ মুসার কানে আযানের শব্দ ভেসে এল ‘ক্যামেরুন ক্রিসেন্ট’ –এর মসজিদ থেকে।
আহমদ মুসা ব্রেক কষল গাড়ির।
‘আমাদের
তেষট্টি লিভিংস্টোন রোড।
আহমদ মুসা বাইবেল সোসাইটির সামনে দাঁড়িয়ে সামনের অংশটার উপর নজর বুলাল।
গেট পার হলেই প্রশস্ত একটা কম্পাউন্ড। তারপরে কম্পাউন্ডের উত্তর প্রান্ত বরাবর
বন্ধ গেটটির সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে হর্ণ দিল আহমদ মুসা।
আহমদ মুসার গায়ে ফরাসি মেট্টো পলিটান পুলিশ ইন্সপেক্টরের পোশাক।
গেটম্যান বন্ধ গেটের ওপাশে দাঁড়িয়ে আহমদ মুসার গাড়ির দিকে
মস্কোর দক্ষিণ অংশে মস্কোভা নদী লেনিন হিলস-এর পাদদেশে এসে ‘ইউ’ টার্ন নিয়েছে। এই ‘ইউ’ টার্নের যেখানে কমসোমলস্কায়া হাইওয়ে দক্ষিণ থেকে এসে মস্কোভা নদী অতিক্রম করে এগিয়ে গেছে সেদোভায়া
নিকোলাস বুখারিন বুঝল সে বেঁচে আছে। ব্রাশ ফায়ারের গুলী তার লাগেনি।
চোখ খুলল নিকোলাস বুখারিন।
চোখ খুলেই দেখল তার সামনে দাঁড়ানো আইভানের সৈনিক প্রহরীটি ব্রাশ ফায়ারের শব্দ লক্ষ্যে
আহমদ মুসা ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি সাগরে যাবার সময় ঘাটে যাদের দেখেছিলে, ফিরে এসেও আবার তাদেরই দেখলে?’
‘জ্বি হ্যাঁ।’ বলল আলী ওরমা।
আলী ওরমা ওকারী গ্রামের জেলে।
আহমদ মুসা
‘বল তোকে ওয়াশিংটন ছাড়তে বলা হয়েছে, আমেরিকার ছাড়তে বলা হয়েছিল, ছাড়িসনি কেন?’ কথাগুলো বলতে বলতে দৈর্ঘ্য-প্রস্থে দৈত্যাকার একজন লোক ঘুষি ছুড়ে মারল সান ওয়াকারের মুখে
মেঝের উপর ছিটকে
অবিরাম কেঁদে চলছে লায়লা জেনিফার।
ডাঃ মার্গারেট বলল, ‘এভাবে কাঁদলে মরার আগেই মরে যাবে জেনিফার। মৃত্যু অবধারিত একটি বিষয়। সুতরাং ভয় কিসের? কাঁদবে কেন?’
‘আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না
ওয়াশিংটন।
প্রধান রাস্তা থেকে এফ.বি.আই হেডকোয়ার্টার বেশ ভেতরে।
প্রধান রাস্তা থেকে লাল পাথরের একটা প্রশস্ত পথ, গিয়ে পৌঁছেছে বিশাল বিল্ডিং-এর গাড়ি বারান্দায়। প্রধান রাস্তাটিও
আহমদ মুসার চোখ পটোম্যাক নদীর উপর নিবদ্ধ। কিন্তু তার দৃষ্টি পটোম্যাক নদীর কিছুই দেখছে না।
আহমদ মুসার শূন্য দৃষ্টিতে ভাসছে উদ্বেগের এক অশরীরী ছবি। লায়লা জেনিফার ও ডাক্তার মার্গারেট