১
ওয়াশিংটনের ভোর।
সকালের কুয়াশা তখন গভীর।
এরই মধ্যে ফেডারেল পুলিশ প্রধান বিল বেকারের মনে হল কুয়াশায় জড়িয়ে একজন মানুষ যেন পড়ে আছে রাস্তার পাশে।
‘ড্রাইভার গাড়ি দাঁড় করাও।’
ওয়াশিংটনের ভোর।
সকালের কুয়াশা তখন গভীর।
এরই মধ্যে ফেডারেল পুলিশ প্রধান বিল বেকারের মনে হল কুয়াশায় জড়িয়ে একজন মানুষ যেন পড়ে আছে রাস্তার পাশে।
‘ড্রাইভার গাড়ি দাঁড় করাও।’
আহমদ মুসার রক্ষা নেই। তাকে ফাঁদে পড়তেই হবে।’ বলল জেনারেল শ্যারন।
‘কিছুক্ষণ আগে শশাংকের সাথে কথা হলো। সে বলল, ‘আজ সন্ধ্যার দিকে নাকি আহমদ মুসা আনাপোলিশে যাচ্ছে। অথচ তার যাওয়ার
নিও নিকারী থেকে একটা মাত্র হাইওয়ে দক্ষিণে বেরিয়ে টটনস ও গ্রোনজা শহর হয়ে গেছে রাজধানী পারামারিবোতে।
আহমদ মূসার গাড়ি বেরিয়ে এল নিও নিকারী শহর থেকে।
শহর থেকে বের হওয়া বিভিন্ন রাস্তা
হ্যারিকেন ঝড়ের মত ঘাড়ের উপর এসে আপতিতপ্রায় ট্রাকটি দেখে শেষ মুহূর্তে যে আশঙ্কার চিন্তা আহমদ মুসার মাথায় ঝিলিক দিয়ে উঠেছিল, তা তার অনুভূতিকে ভোঁতা করে দেয়া নয় বরং তার ব্রেনের কমান্ড
‘তাহলে বলবে না ডকুমেন্টগুলো কোথায় রেখেছ?’ বলল রাগে চোখ মুখ লাল করে এক সারিতে তিনটি চেয়ারে বসা তিনজনের মাঝের জন সামনে হাঁটু ভেঙে দাঁড়ানো তিন বন্দীকে লক্ষ্য করে।
হাঁটু ভেঙে দাঁড়ানো
লিসবনের হোটেল ভাস্কোদাগামা।
পাশাপাশি দুটি কক্ষ।
৭১১ নং কক্ষে থাকে রবীন সিং রাফায়েল ওরফে আহমদ মুসা এবং ৭১২ নং কক্ষে থাকে লছমন লিওনার্দো ওরফে হাসান তারিক।
দুজন দুকক্ষে থাকলেও
কাঁদছে মিসেস জোনস।
অঝোর ধারায় ঝরছে তার চোখ থেকে অশ্রু।
ঠোঁট কামড়ে কান্না চাপার চেষ্টা করছে পলা জোনস।
আহমদ মুসা ও হাসান তারিকের বিব্রত চেহারায় বেদনার একটা মলিন আস্তরণ নেমে
রাব্বানিক্যাল ইউনিভার্সিটি নিউইয়র্ক-এর অভ্যর্থনা কক্ষ। ক্লান্ত দেহটা সোফায় এলিয়ে বসে আছে আহমদ মুসা। ড. হাইম হাইকেল এই ইউনিভার্সিটির ‘ফেইথ স্টাডিজ’ বিভাগের প্রধান রাব্বি। ড. হাইম
ছুটছিল আহমদ মুসা পূর্বমুখী প্রশস্ত করিডোর ধরে। তার পেছনে বুমেদীন বিল্লাহ।
দুজনের হাতেই দুটি ডেডলি কারবাইন। উদ্যত অবস্থায়। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যেত দুটো কারবাইনের নল দিয়েই
আহমদ মুসাকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউজের চীফ অব প্রোটোকল এ্যালান শেফার্ড।
আহমদ মুসাকে নিয়ে বসাল হোয়াইট হাউজের বৈদেশিক উইং-এর ভিভিআইপি কক্ষে। এ কক্ষেই প্রেসিডেন্ট বিদেশী প্রেসিডেন্ট