২৫. আটলান্টিকের ওপারে

চ্যাপ্টার

সন্ধ্যা নেমে এসেছে সাউথ টার্কো দ্বীপে।
বিশাল সাগরের বুকে একখন্ড কালো বড় তিলক চিহ্নের মত মনে হচ্ছে দ্বীপটাকে। দ্বীপটা ঢাকা পড়েছে অন্ধকার আর নীরবতার এক অখন্ড চাদরে।
সেই অন্ধকারের বুক চিরে হঠাৎ কোন সময় চোখে এসে পড়ে কোন প্রদীপ থেকে বিচ্ছুরিত আলোক শিখা।
এমনি একটা প্রদীপ জ্বলছে ওকারী গ্রামের মসজিদে।
মাগরিবের নামায শেষ হয়েছে। নামায শেষে প্রথমে আহমদ মুসা এসে বসল সেই প্রদীপের পাশে।
‘আমেরিকান ক্রিসেন্ট’ নির্বাহী কমিটির এটা একটা জরুরী বৈঠক।
তারা যখন এই বৈঠকে বসেছে, তখন তাদের দৃষ্টি সীমার অনেক দূরে, তাদের গোচরের সম্পূর্ণ বাইরে ব্ল্যাংকের নেতৃত্বে ‘হোয়াইট ঈগল’ বাহিনীর ৫টি বড় বোট এসে নোঙর করল গ্রান্ড টার্কস দ্বীপে।

তখন রাত ৯টা।
লায়লা জেনিফারদের বাড়ি। লায়লা জেনিফারের ড্রইং রুমে সোফায় গা এলিয়ে বসে আছে ডাঃ মার্গারেট।
মাত্র আধা ঘন্টা আগে এসেছে সে গ্রান্ড টার্কস থেকে।
খাওয়া সেরে সবে এসে বসেছে ড্রইং রুমে।
ড্রইং রুমে চা নিয়ে প্রবেশ করল লায়লা জেনিফার। তার সাথে সাথে ড্রইং রুমে এসে ঢুকল জেনিফারের মামাতো বোন সারা উইলিয়াম এবং সুরাইয়া মাকোনি।
চায়ের আসর বসে গেল ড্রইং রুমে। তারপর গল্প। হাসি।
ঠিক এই সময় গ্রান্ড টার্কস-এ ‘হোয়াইট ঈগল’ প্রস্তুত হচ্ছে সাউথ টার্কো দ্বীপে অভিযানের।

সাইমুম সিরিজের পরবর্তী বই
ক্যারিবিয়ানের দ্বীপদেশে

Top